তথ্য চিত্র ডেক্সঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, সেই তুলনায় আমাদের বিমা খাতের তেমন অগ্রগতি হয়নি। দেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে বিমা খাতের অবদান মাত্র শূন্য দশমিক ৫৫ শতাংশ। অথচ গত ১০ বছরে দেশে আরও কয়েকটি নতুন বিমা কোম্পানি এসেছে।
বিমা খাতের প্রিমিয়াম আয় বৃদ্ধি করতে সরকারের সহযোগিতায় কয়েকটি বিমাপণ্য বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সদ্য বিলুপ্ত মোটর থার্ড পার্টি/অ্যাক্ট লায়াবিলিটি ইনস্যুরেন্স পুনর্বহাল করতে হবে। গাড়ি বিমার আওতায় আনা হলেও যথাযথ বিমার আওতার বাইরে থাকছেন যাত্রী বা চালক। করপোরেট সুশাসন, অদক্ষ মানবসম্পদ, বিমা পণ্য প্রণয়ন ও সম্পদ-দায়ের ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা আছে এখনো। ফলে বিমাশিল্প থেকে আর্থিক খাত প্রত্যাশিত সুফল পাচ্ছে না। সার্বিক আর্থিক খাত বিশেষ করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির পরিসর বাড়াতে বিমা খাত যতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে, তা এখানে হচ্ছে না।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার পরও এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রধান কারণ, অর্থনৈতিক অগ্রগতি। অথচ এখন প্রতি হাজারে মাত্র চারজনের জীবনবিমা আছে। কৃষিবিমা, সর্বজনীন স্বাস্থ্যবিমা, দুর্যোগবিমা নেই। অনেক সুউচ্চ ভবন, বড় প্রকল্প এখনো বিমার বাইরে, যদিও উন্নত দেশে বিমার বিস্তারে এসব খাতের বিমা বড় ভূমিকা রাখছে। শিক্ষা ও প্রবাসীদের বিমা নিশ্চিত করেও এ খাতের সম্প্রসারণ সম্ভব।
আরেকটি বড় সম্ভাবনা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিমা। এ জন্য সরকারি ও বেসরকারি বিমা কোম্পানিগুলোকে স্বাস্থ্য বিমার প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।
অন্যদিকে সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিদ্যমান বিমা আইন অনুসারে কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। পাশাপাশি সরকার পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ব্রোকার পদ্ধতি চালু করতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে বিমাগ্রাহক ও বিমা কোম্পানিগুলোকে আরও সচেতন হতে হবে।
মেয়াদ পূর্তীর পর ৭ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে দাবি পরিশোধ করতে হবে, তাহলে বীমার উপর গ্রাহকদের আস্থা আসবে।
জীবনবিমার পাশাপাশি দেশে সাধারণ বিমা প্রসারেরও সুযোগ আছে। সে জন্য সবাইকে বিদ্যমান বিমা আইন মেনে বিমা ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি সরকারের সহযোগিতাও প্রয়োজন।
জনি আহম্মেদ, জি,এম, সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
Leave a Reply