কে এম আর শাহীন/// তাছবিরুল ইসলাম তন্ময়।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ির কারণে জাতিয় ও আন্তর্জাতিক মর্যাদা সম্পন্ন এই ইউনিয়নের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বিশেষ করে ময়ান মোড় থেকে খোরশেদপুর বাজার, হাসিমপুর বাজার থেকে খোরশেদপুর বাজার, শিলাইদহ কুঠিবাড়ি থেকে পদ্মাঘাট পর্যন্ত রাস্তা গুলোর করুন দশা।
যদিও কুষ্টিয়া রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের প্রসস্থ করণের সাথে আলাউদ্দিন নগর থেকে কুঠিবাড়ি পর্যন্ত সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ নির্মাণ করার সুবাদে কুঠিবাড়ি দর্শনার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হয় না। কিন্তু দর্শনার্থীদের পদ্মা ঘাটে যেতে গেলে টের পেতে হয় “কত ধানে কত চাল”
এ বিষয়ে দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যায় একটা ইউনিয়নেই ৯ টি ইট ভাটা থাকার কারণে ইট ভাটার মাটি, বালি সরবরাহ এবং উৎপাদিত ইট পরিবহনের কারণে বড় চাকার ট্রাক্টর সহ শত শত ট্রলি, বাটাহাম্বা, লাটাহাম্বা , নসিমন, করিমনের মত অবৈধ গাড়ি চলাচলের কারণে দ্রুতই সড়ক গুলো নষ্ট হয়ে যায়!
তারপর আরও রয়েছে পদ্মা নদীর চর থেকে বালি তোলার উৎসব!!
তারপর গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে মোটা বালির একমাত্র আড়ৎ মহলি শিলাইদহ কুঠিবাড়ি পদ্মা ঘাটে হওয়াতে ১০ চাকার বড় বড় ট্রাক গুলো এই সকল দুর্বল রাস্তায় চলাচলের কারণে অতি দ্রুত ধংস হয়ে যায় পাকা রাস্তা গুলো।
অন্যদিকে শত শত গাড়ি চলাচলের কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে এই জনপদের মানুষ গুলো।
প্রতি বছরই দুই এক জন করে প্রাণহানি ঘটেছে এই এলাকায়!!!
এনিয়ে কথা বলেছি শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান তারেকের সাথে উপজেলা সদরের সাথে সংযোগ সড়ক গ্রামীণ রাস্তা গুলোর করুণ অবস্থার কারণ সম্পর্কে, তিনি জানান ডজন খানেক ইটের ভাটা এবং অত্র অঞ্চলের সবচেয়ে বড় বালির আড়ৎ মহাল থাকার কারণে রাস্তার লোড ক্যাপাসিটির চেয়ে অতিরিক্ত ওজন বহন করার কারণে দ্রুত রাস্তা গুলো অধিকাংশই নষ্ট হয়ে যায়।
উল্লেখ্য চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন খান তারেকের নিজেরও দুইটি ইটের ভাটা আছে এবং বালির বড় ব্যবসায়ী! সাথে ভারী ভারী যানবাহন তো রয়েছেই!!
রাস্তার অচলাবস্থা নিরসনের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রহিম বলেন অচিরেই রাস্তা গুলো মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
স্থানীয় গণ্যমান্য ও ভুক্তভোগীরা অভিযোগের সুরে বলেন শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বর্তমান সংসদ সদস্যর অত্যন্ত আস্থাভাজন এবং কাছের মানুষ এবং ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে তেমন কোন উন্নয়ন অগ্রগতি হয়নি। এ আক্ষেপ রয়েছে খোদ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মধ্যেও।
Leave a Reply