কবিতা : নিপাতে কনক,,
কলমে : শেখ মিলন আলী,,
সেই ছেলেটার কথা তোমরা,
শুনবে নাকি ভাই।
ঐ ছেলেটা এখন যে আর
এই ভুবনে নাই।
মুচকি হেঁসে বলতো কথা,
নাক’টি ঘেমে যাই
হাতে পায়ে ছিলেন বড়ো,
মনটা শিশুর নেই।
গ্রাম সবে শ্রেষ্ঠ ছেলে,
বলতো তারে সবাই
পড়া শোনাই কি’যে ভালো,
হারতে নাহি চাই
বাবা মা’য়ের অনেক আশা
বেঁধেছিল বুকে,
বড়ো হয়ে চাকরি করবে
শহরে’তে থেকে।
বিধাতার বিধান খণ্ডাবে কে,
এতো সবার নিয়তি,
লেখা আছে কপালে যাহার
যে রোপ পরিনতি
কি বলিবো আমি, তবো
সেই দিনের কথা,
ভোলা যাইনা সোনার শশি
বিছেদের ব্যথা।
ফযরের সালাত আদায়
করিবার তরে,
ঘুম থেকে উঠিয়া ছিলেন
বিছানা ছেড়ে।
অজানা এক সর্প এসে
বক্ষে দংশন করে,
সেই সর্প খাটের ওপর ছিল
নিজো ঘরে।
বিষ পিড়াতে জল গরিরে
আঁখি বেয়ে পরে,
হেকিম দৈব্য বিফলে যায়
চিকিৎসা করে।
০৮’ই ভাদ্র ১৪২৪ বঙ্গাব্দ
রোজ বুধবার,
দুনিয়ার মায়া ছেরে চলে
গেলো ভবো পার।
জীবে জন্ম নিয়েছে যে জন,
প্রাণ আছে যার
চলে যেতে হবে ছেরে
এই জগৎ সংসার।
শুভাসন ফুটন্ত টগর ফুলের কলি,
মকুলেই ঝরে গেলো জীবন বৃক্ষ ছারি।
সারা বাড়ি মাতিয়া থাকিত
তাহার বিচরণ পদো ধোনি,
আফসোস হাই ভোলা নাহি যায়,
ঐ মায়াবী বদন খানি,
হাই-হাই-হাই বিরহ জ্বালাই
বুক ফেটে যাই
সেদিন আত্মীয় স্বজনের
এ’কি আহাজারি।
অন্তিম যাত্রায় লোকের লুকালো নাই
মুঠোর মাটিতেই কবর গিয়েছে ভরি।
অন্যতম শয্যায় ঘুমিয়ে আছে,
মাটির বিচানাই।
আখিঁ পলক কেহ তারে আর
দেখিতে নাহি পারি।
খোদা তোমার আরশ কুরসে
দোয়া মাঙ্গ যানাই
নিপাতে কনক নিবাসে যেনো’
বেহেস্ত নছিব হয়।
Leave a Reply