মোঃআরিফ হোসেন আশুলিয়া সাভার প্রতিনিধি।
আশুলিয়ায় কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ।
রমজান মাস এলেই প্রতিটা রোজাদার পরিবারের ঘরে ইফতারে থাকে তরমুজ সহ অনেক ধরনের মৌসুমী ফলের সমাহার। কিন্ত সেই তরমুজের দাম এবার আকাশ ছোঁয়া তবে দাম বৃদ্ধির কারনে অনেক রোজাদার সহ নিম্ন আয়ের মানুষ গুলো বছরের নতুন ফল তরমুজের স্বাদ এখনো নিতে পারেননি বলে জানিয়েছে ক্রেতারা।
গত কয়েক দিন আগেও পিচ হিসেবে বিক্রি হতে দেখা গেছে তরমুজ।
কিন্তু হঠাৎ করেই চিত্রটা ভিন্ন, চলতি মৌসুমে বাজারে পর্যাপ্তপরিমানে তরমুজ দেখা গেলেও কিছু অসাধু খুচরা বিক্রেতা তরমুজ কেজিতে বিক্রি করছেন এবং তাও আবার কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।
বাইপাইল ,বগাবাড়ি ,জামগড়া, শ্রীপুর সহ বিভিন্ন বাজার, ঘুরে দেখা গেছে, কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে।
অনেক ক্রেতা এসে বিক্রেতার সাথে দাম নিয়ে রীতিমতো তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন। আবার অনেক ক্রেতা যেহেতু কেজিতে বিক্রি হচ্ছে তাই ক্রেতাদের সাধ্য অনুযায়ী কেটে ১ কেজি তরমুজ চাচ্ছেন বিক্রেতার কাছে। এ নিয়েও চলছে বাক বিতণ্ডা।
বাজারে আসা রোজাদার-সহ নানা শ্রেনী পেশার মানুষদের প্রশ্ন তরমুজ কেজিতে বিক্রি হওয়ার কারন কি, যে তরমুজ আমরা কয়েক দিন আগেও পিচ হিসেবে কিনেছি, সেই তরমুজের উপর হঠাৎ করে এমন কি হলো বুঝলামনা যে, কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে কেজিপ্রতি যদি ২০ টাকার মধ্যে থাকতো তাহলে সাধ্যের মধ্যে থাকতো, কিন্তু ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হওয়াটা আমাদের বাংলাদেশে এই প্রথম দেখছি বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
ভোক্তাদের প্রশ্ন এই টাকা কি প্রকৃতপক্ষে ওই চাষিরা পাচ্ছেন,যারা দিন রাত খেটে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তরমুজ চাষ করেছেন তার পকেটে যাচ্ছে, নাকি অন্য কারও পকেটে, কৃষকের তরমুজের ক্ষেত থেকে শুরু করে বাজারে বিক্রেতা পর্যন্ত যারা ভোক্তার পকেট খালি করে চলেছে তাদেরকে খুজে বের করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছেন ক্রেতারা।
Leave a Reply