কবিতাটি আমার একক কাব্যগ্রন্থ ” পদ্মা নদীর বাঁকে ” থেকে নেওয়া।
কবিতার নামঃ- গ্রামের বুকেই থাকি মোঃ মুনির উদ্দীন
গাঁয়ের মানুষ থাকি সদা কাজলকালো গাঁয়,
সারি সারি ঘন সবুজ গাছের শীতল ছায়।
সকাল বেলায় গাঁয়ের সরল চাষীর পদভারে,
আঁকা বাঁকা পথটি করে মুখর বারে বারে।
নদীর ঘাটে চলতে বধূর ঘুঙুর বাজে পায়,
তাই দেখে ঐ নায়ের মাঝির বৈঠা থমকে যায়।
বটের ছায়ায় বসে রাখাল বাজায় হাতের বাঁশি,
সেই সুরে মন হয় উচাটন হেথায় ছুটে আসি।
সবুজ ঘাস আর মাঠের ফসল দুর দিগন্তজোড়া,
মাঝখানে তার ঘাস কাটিছে মাঠের রাখাল ছোঁড়া।
গা খানি তার কালো বরন সরল তাহার মন,
চায় না যেতে সবুজ ছেড়ে কাটায় সারাক্ষণ।
শান্ত নদী, স্রোতের ধারা, পানির কলতান,
বাদাম তোলা নায়ের মাঝির ভাটিয়ালী গান।
গাংচিল, বক, চাতক, টিটিব, শারস পাখির ভিড়ে,
মনের আশা করতে পূরন কাটায় তাদের নীড়ে।
গাঁয়ের মানুষ সদায় থাকি মাটির কাছাকাছি,
মাটির সাথে বন্ধু মোদের মাটির গন্ধে বাঁচি।
গ্রামের সাথে বাঁধা জীবন হাজার তারের সুরে,
চায় না যেন যায় কোথাও গ্রাম থেকে তাই দুরে।
হয়নি দেখা সকল কিছু আছে অনেক বাকি,
মায়ার ডোরে বাঁধে তাই তো গ্রামের বুকেই থাকি।
Leave a Reply