কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
গড়াই নদী শুকিয়ে যাওয়া, সাবমার্চেবল টিউবওয়েল পাম্প মেশিন বসিয়ে পানি উত্তোলন করার কারণে খাওয়ার পানির সংকটে পড়েছে কুষ্টিয়ার সাধারণ খেটে খাওয়া নিরীহ মানুষ গুলো। কুষ্টিয়ার বেশীর ভাগ এলাকায় দেখা গিয়েছে বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট।শহরের প্রায় অধিকাংশ টিউবওয়েল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পরিমান মত পানি। কুষ্টিয়ার গড়াই নদী আজ প্রায় মৃত অবস্থায় আছে। গত ফাল্গুন মাসের শুরুতেই পানির প্রবাহ নেই গড়াই নদীতে, এখন নতুন বছরের বৈশাখ মাসেও গড়াই পরিনত হয়েছে ছোট খালে।
গড়াই রেল ব্রিজ ও সড়ক সেতুর ব্রীজের অধিকাংশ পিলার চরে আটকে গেছে। সেই সাথে নেমে গেছে পানির স্তর। এর প্রভাবে কুষ্টিয়া পৌর এলাকাসহ আসে পাশের অধিকাংশ নলকুপে উঠছে না পানি। এমনকি পৌরসভার থেকে সরবরাহকৃত সাপ্লাই পানির উৎপাদনও কমে গেছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ার কারণে প্রায় সব এলাকার নলকূপ হয়ে গেছে অকেজো। দ্রুত বৃষ্টি পাত না হলে সমস্যা আরো তীব্র থেকে তীব্রতর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ফারাক্কার বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় কুষ্টিয়ায় চলতি খরা মৌসুমে বিশুদ্ধ পানির এমন সংকট দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৮ থেকে ১০ ফুট নিচে পানির স্তর নেমে আসায় এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। শহরতলীসহ পৌরসভার প্রায় অর্ধেক টিউবওয়েল অকেজো হয়ে পড়েছে । টিউবওয়েলে পানি না ওঠায় শহরের বেশীর ভাগ এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির চরম সংকট। প্রায় ৭ মাস বৃষ্টি না হওয়া, কুষ্টিয়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মার শাখা নদী গড়াই শুকিয়ে যাওয়া এবং ঘরে ঘরে সাবমার্চেবল বসানোর কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছেন।
এই পানি সংকটের কারণে কুষ্টিয়া শহরের অভিজাত এলাকার বাসিন্দারা প্রতি বাড়িতে বাড়িতে সাবমার্চেবল টিউবওয়েল বসানো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বাজার ঘুরে দেখা গেছে সাবমার্সেবল বসানোর জন্য পাইপ পর্যন্ত শেষ হয়ে গেছে। সাবমার্সেবল বসানোর কারনে আশেপাশের টিউবওয়েলের পানি গুলো টেনে নিচ্ছে যে কারণেই টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। আর এর ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ বাসিন্দারা।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার মধ্যে ৩৭ হাজার হোল্ডিং রয়েছে। এই হোল্ডিংয়ের আওতায় ৪ হাজার ৬ শত টিউবওয়েল স্থাপন করা আছে । চলতি খরা মৌসুমে পানির স্তর স্বাভাবিক ভাবে ২৪ ফিট থাকার কথা থাকলেও সেখানে পানি স্তর আরো ৮/১০ ফিট নিচে নেমে গেছে। ফলে টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। এ সমস্যা শহরের কমলাপুর, থানাপাড়া, আমলাপাড়া, কুঠিপাড়া এলাকায় সংকট বেশি দেখা দিয়েছে।
তবে ৪ হাজার ৬ শত টিউবওয়েল স্থাপন করা আছে । চলতি খরা মৌসুমে পানির স্তর স্বাভাবিক ভাবে ২৪ ফিট থাকার কথা থাকলেও সেখানে পানি স্তর আরো ৮/১০ ফিট নিচে নেমে গেছে। ফলে টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। এভাবে চলতে থাকলে সাধারণ নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষেরা সুপেয় খাবার পানি থেকে বঞ্চিত হবে।
Leave a Reply